লাইফস্টাইল, ন্যাচারাল ফুড, প্রাকৃতিক চিকিৎসা, শারীরিক পুষ্টি, স্বাস্থ ও সৌন্দর্য

ঢেকি ছাটা পুষ্টিগুণে ভরা লাল চাল কোথায় পাওয়া যায়

ঢেকি ছাটা লাল চাল কোথায় পাওয়া যায়
ঢেকি ছাটা লাল চাল কোথায় পাওয়া যায়
ঢেকি ছাটা লাল চাল কোথায় পাওয়া যায়

পুষ্টিগুণে ভরা লাল চালের উপকারিতা

  • প্রোডাক্ট নাম/ Product Name: লাল চাল / Red Rice.
  • উৎপাদন স্থান: রাজশাহী ও দিনাজপুর ।/ Production Area: Rajshahi and Dinazpur.
  • ওজেন: 5কেজি। Weight: 5 KG.
  • নিরাপদ এবং বিষমুৃক্ত/ Organic Product.
  • এই চালে দেহের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।/ Red Rice is Good Sourch for Iron.
  • প্রচুর পরিমাণে আশযুক্ত/ It’s rich in fiber
  • Red rice is good for your bone health.
  • Contains antioxidants to counteract free radicals.
  • It’s fortified with powerful antioxidants.
  • It helps in fighting asthma.
  • It lowers the risk of obesity.
  • Can Lower Blood Glucose.
  • Can Help Prevent Heart Disease.
  • Can Lower High Cholesterol.

বাঙালিদের জন্য ভাত এমন একটি খাবার যেটা ছাড়া বাঙালিদের চলেই না। আপনি সারা দিন যত যাই খান না কেন, ভাত না খেলে মনে হয় কিছুই খাই নাই। তাই অনেকে বলে থাকেন, আপনার যদি ভাত খেতেই হয় তাহলে লাল চালের ভাত খান। সাদা চাল কি লাল চাল থেকে খারাপ? লাল চাল কেন খাওয়া দরকার? চলেন একটু না হয় জেনে নেই।

লাল চাল কি?

লাল চালে প্রচুর পরিমানে অ্যানথোসায়ানিন নামের অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকে। এই অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট লাল কালারের ফলমূল ও শাকসবজিতে পাওয়া যায়। অ্যানথোসায়ানিন শরীরে প্রদাহ কমিয়ে থাকে। অ্যালার্জি কমায়। ক্যান্সারের ঝুঁকি ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। যারা নাকি ওজন কমানোর জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তাদের জন্য সাদা চালের চেয়ে এই চালে অনেক উপকারী হতে পারে । তাই বলে আপনি কিন্তু চাইলেই তিন বেলা লাল চালের ভাত খেতে পারবেন না। আপনি চাইলে কাপ দিয়ে মেপে পরিমানে অল্প, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যত টুকু সাদা ভাত খান প্রতিদিন ঠিক সেই পরিমানেরই Red Rice ভাত খেতে পারেন।

ঢেকি ছাটা লাল চাল কোথায় পাওয়া যায়
ঢেকি ছাটা লাল চাল কোথায় পাওয়া যায়

লাল চালের গুনাগুন

এই চালে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এতে আঁশের পরিমানটা বেশি থাকে।আর যে খাবারে আঁশের পরিমান বেশি থাকে সে খাবার স্বাস্থ্যের জন্য উপকার বেশি। আঁশ বেশি থাকলে হজমে এটি ভালো কাজ করে থাকে। এই চালে যে সব উপাদান থাকে: ভিটামিন বি১, বি৩, বি৬ ও ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস প্রভৃতি খনিজ পদার্থ। এসব উপাদান আবার সাদা চলে থাকে না। কারণ সাদা চাল তৈরী হওয়ার সময় এসকল উপাদান অনেকাংশ নষ্ট হয়ে যায়। আঁশ ও কমে যায়। এসব যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে সাদা চালের থেকে লাল চাল কে ভালো বলা যায়। শরীরের প্রয়োজনীয় লোহিত কণিকা ও সেরোটোনিন উৎপাদন করে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬।

যারা রক্ত স্বল্পতায় ভুগে তাদের জন্য এই চালে ওষুদের মতো কাজ করে। এই চালে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে বলে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও উপকারী। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে।

ত্বকে তারুণ্য ধরে রাখতে প্রয়োজন অ্যানথোসায়ানিন, যেটি এই চালে বিদ্যমান আছে বলে এটি ত্বকের ভাঁজ কমায়। অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় সূর্যের আলোর ক্ষতিকর আলট্রা ভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। Red Rice

লাল চালের ভাতের উপকারিতা

আর্সেনিকপ্রবণ এলাকায় যদি এই চাল উৎপাদিত হয় তাহলে সমস্যা থাকতে পারে। কেননা মাটি ও পানি থেকে ধানগাছ খুব সহজেই আর্সেনিক শুষে নেয়। ধানের খোসা ও কুঁড়াতে এই আর্সেনিক বেশি থাকে। ধান থেকে খোসা ছাড়ানোর পর তৈরি এই চালে আর্সেনিক–দূষণের আশঙ্কা সবথেকে বেশি। চাল সাদা করার সময় এই চালের কয়েক আবরণ উঠে যায়। তাই আর্সেনিকের মাত্রা সাদা চালে কম।

সামান্য পরিমাণে ক্ষতিকর ফাইটিক অ্যাসিড এই চালে বিদ্যমান। এটি অ্যাসিড আয়রন ও ক্যালসিয়াম শোষণে বাধা দেয়। ফলে এই চালের ভাতের সাথে যদি এরকম কোনো খাবার খাওয়া হয়, যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে, তবে হজমে সমস্যা দেখা দিতে পারে পারে। Read more….

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *